বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীতে গৃহবধু ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা সহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহেশখালীতে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের বিচার চাইতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগী কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। ভুক্তভোগী নারী গত ২৪ জুন কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস সহ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩: গণধর্ষণ করার অপরাধ আইনে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং-২৭।

“প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্তের কার্যক্রম চলছে। তদন্তে যেই অপরাধীই হোক না তারাই আইনের আওতায় আসবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।”

মামলার আসামিরা হলেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মোজাহের বলি ওরফে মুজুবলির পুত্র হাবিব উল্লাহ (২০), ফকিরজুম পাড়ার মো. আমিনের পুত্র মো. আব্বাস (৩২)। এর মধ্যে আব্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাতারবাড়ির বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই
নারীর সাথে কালারমারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বামীর সাথে পারিবারিক মনোমালিন্য চলছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস উদ্দিন উদ্দিনের নিকট বিচার দেয়। কিন্তু ২২ জুন পাঁচটার দিকে সিএনজিযোগে ফকিরজোম পাড়াস্থ ফরেস্ট অফিসের সম্মুখে ওই নারী পৌঁছলে মো. আব্বাস ও তার সহযোগী হাবিব উল্লাহ সিএনজি থামিয়ে তার স্বামী পাশ্ববর্তী একটি বাড়ীতে অবস্থান করছে বলে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই নারী দেখেন সেখানে তার স্বামী নাই। এরপর ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুজনে মওলে ধর্ষণ করেন। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তার মাথায়, বুক, মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলেন বলে উল্লেখ করেছেন।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন ভুক্তভোগী। এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন তিনি।

এরপর গত ২৪ জুন তিনি বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে পরবর্তীতে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

সম্প্রতি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাস র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাভোগের পর পুনরায় ধর্ষণের মতো অপরাধের ঘটনা সংঘটিত করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপরদিকে তার সহযোগী হাবিব উল্লাহও একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধেও মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888